SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - পৌরনীতি ও নাগরিকতা - বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন | NCTB BOOK

জাতিসংঘের নিজস্ব কোন বাহিনী নেই। সদস্য দেশগুলো থেকে প্রেরিত সামরিক সদস্যরাই এর প্রধান শক্তি। নিরাপত্তা পরিষদের তত্ত্বাধানে বিভিন্ন দেশের সামরিক, বেসামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী নিয়ে এই শান্তি রক্ষা বাহিনী গঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর অন্যতম সদস্য দেশ। শুরু থেকেই বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর কর্মকাণ্ডে সমর্থন ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। সর্বপ্রথম ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ নামিবিয়া (UNITAG) এবং ইরাক-ইরানে (UNIIMOG) দুটি শান্তিরক্ষার অপারেশনে অংশগ্রহণের জন্য সেনাসদস্য প্রেরন করে। তখন থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪০টি দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাকারী মিশনে অংশগ্রহণ করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সেনাসদস্য প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষস্থান দখল করে আছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে এ পর্যন্ত প্রায় ১.৪৬ লক্ষ সেনাসদস্য পাঠিয়েছে। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭১০ জন নারী পুলিশ সদস্য মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান খুবই গৌরবের। এ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কমান্ডার হিসেবেও ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । এটি বাংলাদেশের ভূমিকার আরেকটি স্বীকৃতি, যা দেশের মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি করেছে । বাংলাদেশের এ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিবিসি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষাকারীদের The cream of UN peacekeepers' বলে আখ্যায়িত করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশের এ অবদান আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় ।

Content added || updated By